সংশ্লিষ্টরা জানান, পঙ্কজ ভট্টাচার্য গৌহাটিতে স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান এবং চিকিৎসারত অবস্থায় স্ত্রী মৌসুমি দাশ মারা যান। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
অবশেষে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন আটকা থাকার শুক্রবার ন্যাপ সভাপতি দেশে ফেরেন। একই সময়ে দেশে আসেন ভারতের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া আরও নয় বাংলাদেশি।
এ সময় বিজিবি, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইমিগ্রেশন সুবিধা বন্ধ থাকায় ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েছিলেন তারা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল ইসলাম জানান, তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তারা সবাই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) সৈয়দ মওদুদ আহমেদ রুমি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে কাজ, ভ্রমণ ও স্টুডেন্ট ভিসায় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের কিছু নাগরিক আটকা পড়েছেন। তারা দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ করে পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ন্যাপ সভাপতিসহ ১০ বাংলাদেশি তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছেন। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।’
এর আগে গত ২ মে ১১ জন, ২৮ মে চারজন এবং ৩ জুন আরও দুই বাংলাদেশি তামাবিল দিয়ে দেশে ফিরেছেন বলে তিনি জানান।